ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক রথীন্দ্র কুমার দাস স্মরণে শোকসভা টিলা কেটে সরকারি জায়গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বহুতল মার্কেট ছয় থানার ওসি বদলি কমিশনকে নজরে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলো সালমান-আনিসুল হক ফের রিমান্ডে দেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা দেবে জার্মানি হাওরকে বাঁচতে দিন আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৪৭৬ প্রাণ কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর “অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে, তবে তা সীমাহীন নয়” ইজারাকৃত সব জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ পদ হারিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরছেন আ.লীগ নেতারা সাবেক ৩ সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউনেস্কো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ

‘গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন’ প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ১৫-০৮-২০২৪ ০২:০২:৫৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৮-২০২৪ ০২:০২:৫৬ অপরাহ্ন
‘গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন’ প্রসঙ্গে
কারা, কেন এবং কীভাবে করেছেন তার উত্তর পাওয়া অবশ্যই জরুরি এবং তা না পেলে বাংলাদেশে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের চরিত্র কী বোঝা যাবে না। বোঝা যাবে না গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মানুষকে কী উপহার দিতে চলেছেন এবং সেটা বাংলাদেশের মানুষের ভালো করতে পারবে কি না।

ইতোমধ্যেই ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ নামের একটি সংস্থার পক্ষ থেকে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’-এর দাবি উঠেছে। এই দাবি ‘রাষ্ট্র-সংস্কারের প্রস্তাবক’দের পক্ষ থেকে দেশেকে জানিয়ে দিচ্ছে যে, দেশের যাবতীয় সমস্যার সমাধানের জন্য সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার একান্ত প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কারের এই দাবির একটি নিহিতার্থ আছে এবং এই নিহিতার্থটি হলো : রাষ্ট্র সংস্কার না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য ব্যর্থতা একবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের পরে প্রকৃতপ্রস্তাবে বিগত সরকারগুলোর স্বৈরাচারী শাসনের পরিসরে সাধারণ মানুষকে শোষণের আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকাঠামোই বহাল থেকে যাবে, গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব শোষণ-নির্যাতনমূলক ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার কোনও পরিবর্তন হবে না এবং প্রকারান্তরে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

এমন বিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ নামের একটি সংস্থার নেতারা বলেছেন, “গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন ও রক্ষায় ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে। সব পক্ষের উচিত হবে এই বিজয় ও ঐক্যকে সত্যিকারের জাতীয় ঐক্যে রূপান্তর করে প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া।”

খুব ভালো কথা। এমন একটি উদ্যোগকে স্বাগত না জানানোর কোনও কারণ থাকতে পারে বলে আপাতত মনে হচ্ছে না। কিন্তু ‘আপতত’ কথাটির মধ্যে ‘কীছুটা হলেও ‘কিন্তু’র অশুভ আভাস প্রচ্ছন্ন থেকে যাচ্ছে, সে-সত্যিটাকেও অস্বীকার করার কোনও কারণ নেই। বলা হচ্ছে  গণ-অভ্যুত্থানের ‘এই বিজয় ও ঐক্যকে সত্যিকারের জাতীয় ঐক্যে রূপান্তর করে প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া’র কথা। এই ‘প্রতিবিপ্লব’ ঠেকানোর কোনও রাজনীতিবিজ্ঞানসম্মত কর্মসূচি কি ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলক’দের আছে, অর্র্থাৎ তারা কেমন সংস্কার চান? এই সংস্কারের জন্য তাঁদের রাজনীতিক ও আর্থনীতিক প্রস্তাবগুলো কী?

ভুলে গেলে চলবে না, বর্তমান পৃথিবীতে বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তিগুলো ক্ষুদ্র  ও দুর্বল রাষ্ট্রশক্তিগুলোর উপর প্রভুত্ব বজায় রেখেছে এবং শোষণ অব্যাহত রেখেছে এবং গণ-অভ্যুত্থান ও যুদ্ধ (প্রকৃতপ্রস্তাবে লুটের বণ্টন ও পুনর্বণ্টনের যুদ্ধ), এমনকি উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তির স্বার্থে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিটা ক্ষেত্রেই বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করছে আধিপত্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তিগুলো। আধিপত্য বিস্তারপ্রচেষ্টার নীলনকশায় বাংলাদেশ সবচেয়ে গুরুত্ববহ ভৌগোলক অবস্থানে অবস্থিত। বিশ্বব্যবস্থার এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে অবশ্যই ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’-এর নেতাদেরকে তাঁদের কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে এবং জনগণকে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। এর বাইরে তাঁদের ‘গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন’-এর কোনও বিকল্প নেই, যদি না এই ‘আকাক্সক্ষা’ জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কর্মসূচি হয়ে উঠে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য